নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য ছড়ালো হুগলীর ধনিয়াখালিতে

4th March 2020 হুগলী
নিখোঁজ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল‍্য ছড়ালো হুগলীর ধনিয়াখালিতে


রবিবার থেকে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার হলো পুকুর থেকে, চাঞ্চল্য ধনেখালিতে। মৃত যুবকের নাম সুজন দাস (২৪)। বাড়ি গুরাপের রোহিয়া গ্রামে‌।দুই বন্ধুর সাথে রবিবার রাতে বেরিয়েছিল যুবক।হরিপালের অলিপুরে এক বন্ধুর বাড়ি যাবে বলে।অনেক রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় যুবকের বাবা ফোন করে,সে জানায় ধনিয়াখালির মদন মোহনতলায় রয়েছে।তারপর আর যোগাযোগ হয়নি তার সঙ্গে।তার বন্ধুরা জানায় পুকুরে পরে গেছে সুজন।সেইমত জাল ফেলে পানা পরিষ্কার করে খোঁজা হয় পুকুরে কিন্তু খোঁজ মেলেনি।সোমবার গুরাপ থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়।সুজনের তিন বন্ধু,অভিজিৎ পাত্র বাড়ি মধুপুর,বিকাশ ক্ষেত্রপাল বাড়ি বেলগাছিয়া এবং অলিপুরে যার বাড়ি গিয়েছিলো সেই মিলন পাত্রকে ধনিয়াখালী থানায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ছেড়েও দেওয়া হয়।আজ মৃত যুবকের পরিবার থানায় গেলে তাদের লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে পুলিশ।আজ সকালে ধনিয়াখালির সমোসপুর দুলেপাড়া এলাকার পুকুর থেকে মৃত দেহ উদ্ধার হয়।যুবকের পরনে প্যান্ট থাকলেও জামা ছিলো না।পরিবারের অভিযোগ তাকে বন্ধুরাই খুন করেছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।